আমেরিকার প্রথম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ শহর - Eagle Eyes

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Sunday, March 24, 2019

আমেরিকার প্রথম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ শহর


চারদিক থেকে আজানের সুমধুর শুর ভেসে আসছে, যে দিকেই তাকান সেদিকেই দেখবেন তসবি হাতে মুসল্লিরা চোটাছুটি করছে, সবার একটাই তাড়া নামাজ পড়তে হবে। কোথাও যদি এমন কোন দৃশ্য আপনার চোখে পড়ে তাহলে নিঃসন্দেহে আপনি ভাববেন এটা মধ্যপ্রাচ্যের কোন দেশ অথবা মসজিদের শহর ঢাকায় বসবাস করছেন ঠিক এই মুহূর্তে,  কিন্তু না আপনি আছেন আমেরিকায় । আমেরিকার মিশিগান অঙ্গরাজ্যের হেমট্রামেক শহরে মুসলিমদের অধিক আধিপত্য । আজকে আমরা হেমট্রামেক শহর নিয়ে কথা বলবো এবং হেমট্রামেক শহরের মুসলমানরা তাদের নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে এবং মুসলিম আধিপত্য এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি এবং প্রথম কোন মুসলিম শহর হিসেবে আমেরিকান সরকার স্বীকৃতি দিয়েছে হেমট্রামেককে  সেটা আমরা দেখব । তার আগে আপনি অবশ্যই চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে নিন, বেল আইকনে ক্লিক করে রাখুন যেন পরবর্তী আপডেট টি কোনভাবেই মিস না হয়ে যায় আমাদের ইসলামিক ভিডিও একটা প্লেলিস্ট রয়েছে রয়েছে সেটা আপনি দেখতে পারেন পাশাপাশি আপনার পছন্দের ভিডিওর কোন সাজেশন থাকলে কমেন্ট বক্সে সেটা আমাদেরকে লিখে জানান যত কথা আছে সবই আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন আমাদের ফেসবুক টুইটার ইনস্টাগ্রাম সহ  যেকোন মাধ্যমে। হেমট্রামেক সহরের ইতিহাস অনেক পুরনো 1930 সালে এই শহরে বসবাস করত প্রায় 60 হাজার মানুষ কিন্তু বর্তমানে রয়েছে মাত্র 25 হাজার মানুষ তাই হেমট্রামেক সহরের মেয়র কারিম মেজস্কি বলেছেন এখানে এখনো অনেক মানুষ ধারণ ক্ষমতা অবশিষ্ট রয়েছে। হেমট্রামেকে বসবাস করে বিভিন্ন দেশের মানুষ তার মধ্যে রাশিয়া তুরস্ক বাংলাদেশ পাকিস্তান ইন্ডিয়া ইন্দোনেশিয়া মালয়েশিয়া জার্মানি স্প্যানিশ নাইজেরিয়া বিভিন্ন দেশের মানুষ এখানে বসবাস করে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সমাজের মানুষ একসাথে বসবাস করে বলি এই শহরকে কদিন আগেও বলা হত দুই বর্গ কিলোমিটারের পৃথিবী। কিন্তু ঘটনার পরিক্রমায় শহরের অনেক কিছু পরিবর্তিত হয়েছে বর্তমানে এই শহরকে বলা হয়  আমেরিকান ফার্স্ট মুসলিম মেজরিটি সিটি। যাকে আমেরিকান সরকার ও স্বীকৃতি দিয়েছে।




১৯৭০ সালেও হেমট্রামেকে ৯০ শতাংশ পোলিশ খ্রিস্টানদের বসবাস ছিল এই শহরে। এবং তাদের জন্য ছিল সবধরনের ব্যাবস্থা। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় চার্চস এর কথা। চার্চ এখনো রয়েছে কিন্তু খ্রিস্টানরা খ্রিস্টানরা ঠিক আগের মত নেই। রয়েছে মুসলিমের সংখ্যা গরিষ্ঠতা অনেক বেশি ১৯৭০ এর পরে ধীরে ধীরে খ্রিস্টানের সংখ্যা কমতে থাকে। এবং পোলিশ কমিউনিটিকে একটু একটু করে দুর্বল করে দেয়, একই সময়ে ইমিগ্রেন্ট হয়ে আশা মুসলিমরা তাদের জায়গা তৈরি করে নিতে থাকে, আস্তে আস্তে এখানে মুসলিম জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পায় 2017 সালে এখানে প্রায় 53 শতাংশ মুসলমান বসবাস করা শুরু করে। যার ফলে আমেরিকান সরকার ঘোষণা দিতে বাধ্য হয়েছে আমেরিকান মুসলিম মেজরিটি সিটি  হিসেবে হেমট্রামেকে। হেমট্রামেক সিটি কাউন্সিলের উচ্চ পর্যায়ে 6 জনের মধ্যে চারজনই রয়েছেন মুসলিম। হেমট্রামেক আমেরিকার একমাত্র শহর যেখানে প্রায় 50 টি ল্যাংগুয়েজে ব্যবহার রয়েছে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মানুষ তাদের নিজেদের ভাষা ব্যবহার করে জীবন যাপন করছে কিন্তু আমেরিকান ল্যাঙ্গুয়েজে প্রতিও তাদের অনেক বেশি শ্রদ্ধা রয়েছে । ২৩% শতাংশ মুসলিম সমগ্র আরব থেকে আসা এবং 21% রয়েছে শুধু বাংলাদেশী মুসলিম, এছারা বসনিয়া থেকে আশা ৭% মুসলিমের পাশাপাশি সারা পৃথিবী থেকে আগত বিভিন্ন ধরনের মুসলমানরা এখানে বসবাস করছেন। সাধারণ আমেরিকানদের মধ্যে মুসলিমদের নিয়ে অনেক বেশি বিতর্ক থাকলে ও হেক্ট্রামেক এই জায়গায় অনেকটাই ভিন্ন। সিটি মেয়র তাই অকপটে স্বীকার করেছেন হেমট্রামেকে বড় ধরনের কেজুয়ালিটি কখনোই হয়নি যার ফলে এখানে মুসলিমরা আমেরিকানদের আস্তা কুঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। হেমট্রামেক একমাত্র শহর যেখানে মসজিদ এবং চার্চ পাশাপাশি অবস্থান করছে।  এবং নামাজের জন্য এখানে কোন ধরনের বাধা কখনই আশেনি। হেমট্রামেক শহরের অলিগলিতে বিভিন্ন ধরনের হালাল খাবারের দোকান পাশাপাশি বিভিন্ন অলিগলিতে আপনি খুঁজে পাবেন আরবি বাংলা ইংরেজি ভাষার বিভিন্ন ধরনের সাইনবোর্ড। হেমট্রামেক পুরো শহরটি জুড়ে রয়েছে প্রায় 12 টি মসজিদ বেশ কয়েকটি মসজিদের নাম এরই মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঈমান, ইসলামী কমপ্লেক্স বায়তুল মোকাররম মসজিদ, বায়তুল আল ফালাহ মসজিদ, বায়তুল আল ইস্লাহ জামে মসজিদ, মসজিদ নুর, মসজিদ আল ফুরকান, বায়তুল আমান জামে মসজিদ এবং আবু বকর সিদ্দিক ইসলামিক সেন্টার সহ আরো কয়েকটি মসজিদ। হেমট্রামেরকে বাইরে নিউ ইয়উরকের অধুরে বাফেলো শহরে ও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে চার্চ গুলোকে কিনে মসজিদে রূপান্তর করা হয়েছে। পুরো মেশিগান জুড়েই মুসলিমদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা বৃদ্ধি পাচ্ছে যার একটা ছোট্ট উদাহরন হচ্ছে মেশিগানের গভর্নর নির্বাচনে এল সাইদের প্রার্থিতা তিনি প্রথম কোন মুসলিম গভর্নর নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন যদিও তিনি 2018 নির্বাচনে হেরে গিয়েছেন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Responsive Ads Here