পবিত্র জমজম কূপের রহস্য, কেন বিজ্ঞানীরা অবাক | Zam Zam The Blessed Water - Eagle Eyes

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Saturday, May 25, 2019

পবিত্র জমজম কূপের রহস্য, কেন বিজ্ঞানীরা অবাক | Zam Zam The Blessed Water


জমজম আল্লাহ্‌র এক অশেষ মেহেরবান পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ পানি। পানি যার অপর নাম জীবন। জিবনের সাথে পানির সম্পর্ক অনেক গভীর ভাবে জড়িত, পানি না থাকলে মানুষ বাঁচতে পারেনা পৃথিবী বাঁচতে পারেনা। ইতিহাস গেঁটে দেখা গেছে যদি সিঙ্গাপুর সরকার একদিন ময়লা দুর্গন্ধযুক্ত পানি রিসাইকেল করা বন্ধ করে দেয় তবে সেদেশে পানিও যুগ্য পানির অভাব কঠিন ভাবে দেখা দিতে পারে। কিন্তু এক জমজমই পারে পুরো সৌদি আরবকে পানযুগ্য পানির অভাব থেকে মুক্ত করে দিতে।

জম জম পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ পানি, আল্লাহ্‌র তৈরি সবচেয়ে সুপেয়ও পানি। যাকে পানি নয় বরং সর্বউচ্চ খাদ্যের সাথে তুলনা করা হয়েছে। কাবা শরীফ থেকে মাত্র ২১ মিটার দূরে ৩১ মিটার গভীরে এই পানির অবস্থান। পানির লেভেল কম থাকলে প্রথি সেকেন্ডে ১১০০ লিটার পানি উত্তলন করা যায়। এবং পানির লেভেল যখন পুর্ন আকার ধারন করে তখন ১৮৫০ লিটার পানি উত্তোলন করার রেকর্ড রয়েছে। দুটি বড় আকারের অটোম্যাটিক পাম্পের মাধ্যমে ২৪ ঘন্টা ধরে পানি উত্তলন করা হচ্ছে। সৌদি আরবের ভিবিন্ন স্থানে এই পানি সরবরাহ করার জন্য স্পেশাল ট্রান্সপোর্টের ব্যাবস্থা রয়েছে। এবং সাধারনত ১০৫০০০০ লিটার পানি প্রতিদিন সরবরাহ করা হয়ে থাকে, কিন্তু হজ্জের মতো বড় আয়োজনের সময় এই সরবরাহের পরিমান গিয়ে দাড়ায় ৪০০০০০ লিটারের উপরে গিয়ে।  পানির উত্তলন সরবরাহ এবং পুরো প্রক্রিয়াটি নিওন্তরন করা এবং পাইপলাইন এবং ট্যাঙ্কারের নিয়ন্ত্রণ করা হয় সম্পুর্ন ভাবে ফাইভার টেকনোলজি এবং স্কাটার স্যস্টিমের মাধ্যমে। বিশেষ এক ধরনের ফাইভারের মাধ্যমে এই পানি সরবরাহ করা হয়ে থাকে মসজিদে নববিতে। মসজিদের ভেতরেই পানি রাখা এবং সরবরাহ করার বিশাল এক স্থান রয়েছে। সেখানে একধরনের ওয়ান টাইম গ্লাসের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হয়ে থাকে সব সময়। প্রতিদিন প্রায় ২০০০০০০০ গ্লাস পানি পান করে থাকে সারা বিশ্ব থেকে আগত মুসলমানেরা।

কন্টেনাইর গুলো একধরনের বিশেষ তালা দ্বারা সুরক্ষিত থাকে। প্রিতিবার ব্যাবহারের পর খুব ভালো ভাবে ধুয়ে  পুনরায় পানি সরবরাহ করার জন্য কন্টেনাইর গুলোকে একটি স্পেশাল স্টেশানে নিয়ে যাওয়া হয়। মসজিদের পুর্ব পাশে পানি পানের স্পেশাল ব্যাবস্থা রয়েছে। সেখান থেকে চাইলেই যে কেউ পানি নিয়েও যেতে পারে। মসজিদের ভেতরে জমজম কুপের পাশে বছরের পর বছর ধরে জম জমের পানি পরিক্ষার জন্য একটি স্পেশাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত গুনে মানে এবং স্বাদে কথাও কোন পরিবর্তন আশেনি জমজমের পানিতে।

জমজমের পানির চাহিদা প্রতিদিন গানিতিক হারে বাড়তে থাকায় সৌদি কত্রিপক্ষ রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে।  তাই ২০১০ সালে কিং আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ মক্কার কাদাই এলাকায় জমজমের পানি সরবরাহের জন্য নতুন এক বড় আকারের প্রোজেক্ট হাতে নেন।  বিশাল এই প্রোজেক্টে জমজমের পানি নিয়ে যাওয়া হতো বিশেষ ধরনের এক পাইপ লাইনের মাধ্যমে, সেখান থেকে এই পানি অটোম্যাটিক মেশিনের মাধ্যমে বোতল যাত করে রাখা হতো, প্রতিদিন প্রায়  ১৫০০০০ বোতল পানি গুদামজাত করা হয়ে থাকে। সরবরাহ সহজ করার জন্য অটোম্যাটিক কার্ডের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হয়ে থাকে প্রতিদিন।

মুসলমানদের কাছে জমজমের পানি অতি বরকতময় এবং পবিত্র। হাদিসে এই পানির অশেষ কল্যানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। রাঃ সঃ বলেন ভূপৃষ্ঠের সবচেয়ে উৎকৃষ্ট পানি হচ্ছে জমজমের পানি।  এ পানি খুদার্তের জন্য খাদ্য এবং রুগীর জন্য সেফা স্বরূপ কাজ করে। বিদায় হজ্জের সফরের সময় রাঃ সঃ এই পানি খুব বেশি পান করেন এবং চুখে দিয়েছেন মাথায়ও ঢেলেছেন। ষষ্ঠ হিজরিতে হুদাইবিয়া নামক স্থানে অবস্থান কালে রাঃ সঃ মক্কা থেকে জমজমের আনিয়ে পান করেন এবং সঙ্গে করে মদিনায় নিয়ে আসেন। আম্মাজান আয়শা রাঃ বলেন প্রিয় নবি রাঃ সঃ কোথাও গেলে সঙ্গে করে জমজমের পানি নিয়ে যেতেন এবং রোগিদের উপর এ পানি চিটিয়ে দিতেন।  ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত রাঃ সঃ বলেন জমজমের পানি যে উদ্দশ্যে পান করা হবে তাই হাসিল হবে। সাহাবারা জমজমের পানি অত্যন্ত তাজিমের সঙ্গে পান করতেন এবং সঙ্গে করে বাড়িতে নিয়ে আসতেন। এ নিয়ম এখনো চালু রয়েছে, পৃথিবীর লক্ষ কোটি মুসলমান এই নিয়মের সাথে এখনো নিজেদের আবদ্দ করে রেখেছেন। পৃথিবী যতদিন থাকবে জমজমের পানি ঠিক একই নিয়মে পান করা হবে।

জমজমের পানির রহস্য ভেদ করতে না পারায় গবেষণা আজ পর্জন্ত হচ্ছে এবং হয়ে যাচ্ছে। হাজার হাজার গবেষণা এখনো প্রমান করতে পারেনি জমজমের পানিতে সত্যিকার অর্থে কোন রহস্য রয়েছে। সৌদি আরবের জিওজিল্যাকেল সার্ভের রয়েছে জমজম স্টাডি এন্ড রিসার্স সেন্টার নামের একটি গভেশনা কেন্দ্র। ল্যাব্রটরিতে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, সাধারন পানির তুলনায় জমজমের পানিতে ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম সল্টের পরিমান অনেক বেশি। যা ক্লান্তি দূর করতে বিরাট ভুমিকা রাখে। জমজমের পানিতে যে সব উপাদান রয়েছে তা সাধারন মানুষের পুষ্টি এবং রোগ নিরাময় কারী।  ব্রিটিশ স্বাস্থ্য সংস্থা নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগের উদ্যগে জমজমের পানি নিয়ে গবেষণা করা হয়। ওই গবেষণায় প্রমান হয়েছে জমজমের পানি স্বাস্থ্যের জন্য উৎকৃষ্ট এক টনিক স্বরূপ।

এক মিশরিয় ডাক্তার জমজমের পানি সম্পর্কে গবেষণা করে যে রিপর্ট তৈরি করেছেন তাতে তিনি বলেছেন, এ পানিতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম, ক্লোরাইড, ক্যালসিয়াম কার্বনেট, পটাসিয়াম, নাইট্রেত, এবং হাইড্রোজেন। ১৯৭৭ সালে লিবিয়ার ত্রিপলির একটি টিম জমজমের পানি গবেষণা করে দেখতে পেয়েছে এতে রয়েছে টোটাল ডিজল্ব এসিড ১৬২০, ক্লোরিন ২৩৪, ক্যালসিয়াম কার্বনেট ৩৬৫, সালফেট ১৯০, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন সালফার, ও নাইট্রেট। সম্প্রতি জাপানের এক গবেষক মাস্রু ইমুটো, জমজমের পানি গবেষণা করে বলেছেন, জমজমের এক ফোটা পানি যদি সাধারন একহাজার ফোটা পানির সাথে মেশানো হয় তাহলে জমজমের পানির মিশ্রণে সেই পানি জমজমের পানির মতোই বিশুদ্দ হয়ে যায়। কেননা জমজমের মতো বিশুদ্দ পানি পৃথিবীর অন্য কথাও পাওয়া যাবেনা। তিনি আরও বলেন এই পানি নিয়ে জত গবেষণা হবে তাই হবে খুব অপ্রতুল।


জমজমের কিছু বৈশিষ্ট্য আপনার জেনে রাখা জরুরী।

পৃথিবীর যে কোন কুপের পানি দীর্ঘ দিন ধরে আবদ্দ থাকার ফলে তার রঙ ও স্বাদ নষ্ট হয়ে যাওয়া খুব স্বাভাবিক। কিন্তু হাজার বছর ধরে অতিক্রান্ত হওয়া জমজমের পানির রঙ স্বাদ এবং গুনে কোন পর্যন্ত কোন আজ পরিবর্তন হয়নি।

১০ ফুট গভীরে ২৪ ঘন্টা দুটি শক্তিশালী মোটরের দ্বারা পানি উত্তোলন করা হয়ে থাকে, তারপর আজ পর্যন্ত কোনদিন এ পানি শুকিয়ে যায়নি।  

পানির লেভেল একধম নিছে যাবার মাত্র ১১ মিনিটের বিরতিতে আবার পুর্ন লেভেলে ফিরে আসে। যেটা প্রিথবির যে কোন কুপকে অবাক করে দেয়ার মতো।

কোন নদী এবং জলাশয়ের সঙ্গে জমজম কূপের কোন যোগশুত্র নেয়, অথচ সবসময় লাখ লাখ মানুষ এ পানি পান করে যাচ্ছে এবং একাধারে এ পানি উত্তোলন করে জমানো হচ্ছে সাধারন মানুশকে সরবরাহ করার জন্য।

জমজমের পানি শুধু তৃষ্ণা মেটায়না, বরং খুদা নিবারন করে এবং আরোগ্য দান করে।  

জমজমের পানি কেব্লামুখি হয়ে পান করা মুস্তাহাব, এবং এ পানি দ্বারা সুচ করা সম্পুর্ন রুপে মাখ্রু।
জমজম পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ পানি। it is blesed it is enough as food as satisfied.

Sabscribe করুন সঙ্গে থাকুন নতুন আরও অনেক ভিডিও আপনাদের জন্য নিয়ে আসছি ততক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। আপনার যদি কোন মতামত থাকে তাহলে definetly আমাদেরকে কমেন্টস বক্সে জানান। এবং আপনার কথা সরাসরি আমাদেরকে ইনবএক্স করতে পারেন। ফেইজবুকে আমাদের ফেইজবুক ফেইজে, এছারা ইমেল করতে পারেন আমাদের ইমেইল আইডিতে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Responsive Ads Here