বিপিএল এবং মাশরাফি জেন একেবারে মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ, এ আসর ব্যাতিত বিপিএলের গত পাঁচ আসরে মাশরাফি জেনো এক অনবদ্য তারার নাম, গত পাঁচবারের সফল আয়জনে চারবারই ট্রপি উঁচিয়ে ধরা অধিনায়কের নাম মাশরাফি। তিনি ২ বার জিতিয়েছেন ঢাকাকে, একবার কুমিল্লা ভিক্টুরিয়ান্সকে, এবং সর্বশেষ রংপুরকে, মঝে শুধু সাকিবের ঢাকা ডায়নামাইটস একবার মাশরাফির হাত থেকে ট্রপি নেয়ার সুজগ পেয়েছে। কেপ্টেন ফ্যান্টাস্টিক শুধু কেপ্তেন্সিতে ভুদ থাকতে পছন্দ করেন্না, তিনি মাঠের খেলায় সমান তালে ফারফর্ম করে যান, চলতি বিপিএল এর সেরা বলারের এর তালিকা খুজলে শেখানে নিসসন্ধে আপনি তাকে খুজে পাবেন।
হ্যালো ইউটিউব ওয়েলকাম টু আওয়ার এনাদার এপিসোড, আজ মাশ্রাফি এবং বিপিএল এর আদ্য পান্ত নিয়ে কথা বোলব, তার আগে আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে নিন, পাশাপাশি বেল আইকন ক্লিক করে রাখুন জেন নেক্সট আপদেট আপনার কাছে পউছে দিতে পারি খুব সহজেই।
আইপিএল ধামামায় তখন সারা ক্রিকেট দুনিয়া টালমাটাল, তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ বা বিপিএল এর যাত্রা শুরু। তখন সবে ইনজুরি কাটিয়ে ২০১২ বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়া মাশরাফি পুরাপুরি সুস্থ, ঢাকা গ্লাডিয়েটরস নয়ছয় চিন্তা না করে প্রথম পছন্দ হিসাবে মাশরাফিকে বেছে নেয়, এবং তাকে দেয়া হয় অধিনায়কের দায়িত্ব। কেপ্টিন পেন্টাস্টিক দায়িত্ব পেয়ে মাঠেই দেখিয়ে দিয়েছেন তার কারিশমা। চমৎকার অধিনায়কত্ব আর বোলিং তুখর ধার প্রমান করে দিল তিনি অনেক বেশি আলাদা। সেবার ঢাকা চ্যাম্পিয়ন হয়ে মাঠ ছাড়ল। আর ১৬ কোটি বাঙালি দেখল মাশরাফি বিশ্বয়।
ধারাবাহিক আয়জনের দ্বিতীয় পর্ব ও শুরু হয় ২০১৩ সালে, একই ভাবে মাশরাফি আবার ও ঢাকার কেপ্টেন, এবার ও তিনি বাজিমাত করলেন ঢাকার হয়, সাথে টানা দ্বিতীয় বার ট্রপি ঘরে তুলে নতুন রেকর্ড করল ঢাকা গ্লেডিয়টরস, সাথে মাশরাফি যেন দিলেন দেশের ক্রিকেটে নতুন চোয়া। ২০১৪ সালের বিপিএল হয়নি, নতুন করে শুরু হয়েছে বিপিএল ২০১৫ সালে সাথে বেশ কিছু পরিবর্তন নিয়ে। এবার কুমিল্লা নতুন দল হিসাবে বিপিএল এ যাত্রা করল, ভাগ্য দেবতা কুমিল্লাকে পাইয়ে দিল মাশরাফি। যদিও কুমিল্লার মালিক নাফিজা কামাল বেশ খুশি হতে পারেন্নি মাশরাফিকে পেয়ে, তিনি চেয়েছিলেন সাকিব আল হাসানকে। যাই হোক অনকোড়া আর অচল প্লেয়ারে ভরা ছিল কুমিল্লা সে আসরে। ফলাফল স্বরূপ মাশরাফির নেত্রিত্তেই হারের বৃত্য বসে যায় দলটি। কিন্তু অনেকেই ভুলেই গিএছিলেন কুমিল্লায় তখনো তাদের সেরা প্রদীপটি জলে উঠেনি। কুমিল্লার দলীয় পঞ্চম ম্যাচে সবাইকে অবাক করে দিয়ে মাশরাফি নেমে গেলেন টু ডাউনে। এবং ৩২ বলে ৫৬ রেনের এক জলমলে ইনিংস খেলে সবাইকে অবাক করে দেন, সাথে সে ম্যাচে জিতে যায় মাস্রাফি ও তার দল কুমিল্লা। এর পর কুমিল্লাকে পিচন ফিরে তাকাতে হয়নি। টানা জয়ের ধারায় সেবার কুমিল্লা চ্যাম্পিয়ন হয় আসর শেষ করে। মাশরাফি আবার ও প্রমান দিলেন তিনি মাথা উচু করে সব চ্যালেঞ্জ মুকাবেলা করতে পারেন। সে আসরে কুমিল্লা শুধু দল হিসাবেই জিতেনি, মাশরাফি দেখিয়েছেন কিভাবে অচল ইম্রুল ও অলক কাপালিকে দিয়ে রানের চাকা সচল রাখা যায়, এবং আবু হায়দার রনির মত অখ্যাত কে দিয় আসরের সেরা বোলিং করিএছেন কেপ্টেন ম্যাশ।
সময় গড়িয়ে যায়, কিন্তু ভালবাসা সিক্ত ম্যাশ সব সময় ই ভুক্ত কুলের হৃদয়ে বসবাস করেন, স্রতের বিপরিতে নয়, বরং স্রোতকে চ্যালঞ্জ করে সামনে এগিয়ে চলার নাম ম্যাশ, তাইতো সব বাধা অতিক্রম করে ম্যাশ পেয়েছেন জাতীয় দলের দায়িত্ব। তার হাত ধরেই সেবার বাংলাদেশের ক্রিকেট ছিল বশ্ববাসীর কাছে সবচেয়ে আলোচনার নাম। একরকম বলে কয়ে ভারত দক্ষিন আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড এর মত দলকে হারিয়ে ট্রপি ঘরে তোলার রেকর্ড গরেছে বাংলাদেশ, নেত্রিত্তে ছিলেন নরাইল এক্সপ্রেস। ক্রিকেটারদের জিবনে খারাপ সময় আসে মাশরাফির ও এসেছে, কিন্তু ইনজুরিকে আলিঙ্গন করার মত খারাপ সময় তার জিবনে কখনো আসেনি, মাঠের খারাপ সময়কে বড়ু আঙ্গুল দেখিয়ে চলা ম্যাশ যেন ঠিক জেন মুদ্রার উল্টো পিঠ সেবার দেখলেন বিপিএলে, 2016 সালের বিপিএল কোন ভাবে ভাল জায়নি কেপ্টেন ম্যশের। সব দায়িত্ব কাদে নিয়ে এবার আর ব্যাটে বলে হয়নি যেন কোন কিছু, আগের বারের চ্যাম্পিয়ন এবার ও টুর্নামেন্ট থেকে চিটকে পড়েছে। এবং ২০১৬ সালে বিপিএলের ট্রপি উঁচিয়ে ধরেন বিশ্বসেরা আলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। মাশরাফির নিরবতা যেন সবাইকে নতুন কিছু জানান দিচ্ছিল। সময়ের বদলে সেটা সবার কাছে ক্লিয়ার হয়ে গিয়েছে। ২০১৭/১৮ এর প্লেয়ার ড্রাপ্টে মাশ্রাফিকে বেছে নেয় রংপুর রাইডারস। নতুন দল নিয়ে মাঠে ঝাপিয়ে পড়েছেন কেপ্টেন মাশরাফি। এবার যেন অন্য এক চ্যালাঞ্জ ছিল তার সামনে, মাঠে দুরবার মাশরাফি আবার ও তার চেনা রুপে। সাথে তার দলের সতিরথি ক্রিস গেইলের আগুন ঝরা পারপরমেন্স আবার ও ট্রপি এনে দেয় মাশরাফির হাতে। এবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে মাঠ ছারেন মাশরাফি। তবে এবার নতুন করে ট্রপি নেয়ার সুযোগ পেল রংপুর। ট্রপি জয়ের আনন্দে রংপুর কত্রিপিক্ষ মাশ্রাফিকে একটি দামি রেঞ্জ রোবার উপহার দেয়ার ঘোষণা দেয়, কিন্তু মাশ্রাফি সেটি গ্রহন করনি। চেয়েছেন একটি এম্বুলেন্স তার এলাকার হাস্পাতালের জন্য এখানে ও নতুন এক মাশরাফির আবিস্কার করলো ক্রিকেট ভক্তকুল।
হয়ে গেছে জাতীয় নির্বাচন, মাশরাফির নামের সাথে যোগ হয়েছে এবার রাজনৈতিক তকমা। তিনি এবার নির্বাচিত এমপি। এমপি মাশরাফি ব্যাট বল হাতে নিয়ে এবার মাঠে নেমেছেন, যা প্রিথিবিতে সম্ববত প্রথম।
চলচে বিপিএল ২০১৮ মৌসোম, এবার ও মাশরাফি আছেন রংপুরের নেত্রিত্তে। হার জিতের পালাবদলে রয়েছে তার দল রংপুর রাইডারস। তবে গেইল, এবি ডিভিলিয়ার্স, রাইলি রুসু, এলেক্স হেলসদের মতো তারকা নির্ভর দলের নেত্রিত্তে এবার ও আশায় বুক বাধতে পারে রংপুর। কারন তারা এবার করেছে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ২৩৯ রানের রেকর্ড। মাশরাফি কেতন এভাবে উড়তে থাকলে হয়তো এবার ও আগের মতো তার হাতে বিপিএল ট্রপি চলে জেতে পারে।
শুধু মাঠে খেলে খান্ত নন কেপ্টেন ম্যাশ, তিনি আছেন তরুণদের পারপরমেন্স এর বিচার ভাবনায়ও, চলতি আসরে মেহেদি হাসান মিরাজ করছেন রাজশাহীর দলপতির দায়িত্ব। তাই চুখ রেখেছেন জাতীয় দলের এই সতিথির দিকে। করেছেন ভুওইশি প্রশংসাও, কারন আসরের প্রথম হার ও যে মিরাজের দলের কাছে পেয়েছে মাশরাফির রংপুর। আবার জুনাইদ সিদ্দিকির মতো ঝড়ে পড়া ক্রিকেটাররা ও রানে ফিরতে পারেন, সেটা মাশ্রাফিকে বেশ ভাল লাগা দিএছে তেমনি আসরের মাঝপথে তিনি ঠিকই স্মরণ করিয়ে দিলেন এবারের আসরে নতুন কোন প্রতিভা তার নজর কেড়ে নিতে পারেনি।
মাশরাফিকে নিজের আইডল মানে এবং নিজেকে তার মতো করতে চায় এমন তরুনের অভাব নেই বাংলার বুকে। ব্যাপারটা ম্যাশ ভালভাবেই জানেন। তাইতো সবসময় সবাইকে ভাল কিছু করার পরামর্শ দিয়ে যান সবসময়।
তিনি এযুগের ক্রিকেটের দুখু মিয়া। কারন সব দুঃখ জলাঞ্জলি দিয়ে ও তিনি ক্রিকেট কে ভাল বেশে গেছেন, এখন ও আছেন ক্রিকেটের সাথে।
No comments:
Post a Comment