ইতিহাসে এমন একটা সময় ছিল যখন আমেরিকায় তেমন কন মুসলিম ছিলনা, সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে অনেক কিছু বদলেছে শেখানে, তেমনি বদলেছে আমেরিকার ধর্মের ইতিহাস। শেখানে প্রায় ১২/১৫ টি ধর্মের মানুষ বসবাস করছে, যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি খ্রিস্টান। বর্তমান আমেরিকায় সবচেয়ে দ্রুত যে ধর্ম বেড়ে উঠছে সেটি হচ্ছে ইসলাম, এবং যে ধর্ম অনুসারীর সংখ্যা কমছে সেটি হচ্ছে খ্রিস্টান,
সর্ব প্রথম নর্থ ও সাউথ ডাকটাতে মুসলিম বসবাস শুরু হয় ১৮৭৮-১৯২৪ সালের মধ্য, যা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে জায় অহাইও মিশিগান সহ আর কিছু অঙ্গ রাজ্যে। এসব মুসলিমদের বেশিরভাগ এসেছে মধ্যপ্রাচ্য থেকে মাইগ্রেন্ট বা ইমিগ্রেন্ট হয়ে। যার মধ্য সিরিয়া লেবানন সহ মধ্য প্রাছ্যের বেশ কিছু দেশ ছিলো। এসব মুসলমানদের আমেরিকায় যাওয়ার একটাই উদ্দ্যশ ছিল তা হচ্ছে ভাল জব এবং ভাল ভাবে জবন জাপন করা। যা তাদের নিজ দেশে কোন ভাবেই সম্ভব ছিলনা। ইতিহাস বলে যে এসব মুসলিম আমেরিকার নামি দামি বড় বড় কোম্পানিতে জব করেছে, যেমন ফোর্ড, জীএম, জন ডেড়ি, এর মত কোম্পানি। এবং একই সময়ে আফ্রিকান কৃষ্ণাঙ্গ মুসলিমরা আমেরিকায় আসতে শুরু করে, এবং ধীরে ধীরে তাদের সংখ্যা আরও অনেক বেশি বেড়ে জায়, যারা এখন আমেরিয়ায় সদর্পে দাপিয়ে বেরাচ্ছে।
১৯২৯-১৯৪১ সালের দিকে মধ্য প্রাচ্যের মুসলিমরা দেখেছে যে তাদের সমাজ ও তাদের জনবল ধীরে ধীরে বেড়ে চলছে তখন তারা তাদের নামাজ আদায় করার জন্য শেখানে মসজিদ তৈরি করতে শুরু করে, এবং আফ্রিকান মুলসিমরাও তাদের নামাজ আদায় করার জন্য মসজিদ তৈরি করে নিয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পর বেশ অনেক পিলস্তানি মুসলিম আমেরাকায় আসতে শুরু করে, এবং তাদের সংখ্যা মোটামোতটি বড়ই ছিল, তাদের পাশাপাশি একই সময়ে ইরাক ও মিশর থেকে ও মুসলিম আমেরাকায় আসে। ১৯৪৫-১৯৫০ এর দিকে সাউথ এশিয়ান মুসলিমরা আমেরিকায় আসতে শুরু করে, বিশেষ করে ভারত, পাকিস্তান, উল্লেখযুগ্য। এই ছিল মুসলিমদের প্রথম পদযাত্রা আমেরাকায়। চলুন তাহলে জানি বর্তমান অবস্থা।
আমেরিকায় ইমিগ্রেন্টদের নিয়ে বেশ বিতর্ক রয়েছে, রয়েছে মুসলিম বিদ্বেষী অনেক তর্ক ও বিতর্ক, তবে থেমে নেয় কার পথ চলা। আমেরিকান চেন্সাস ব্যারু প্রায় সব ধরনের তথ্য প্রকাশ করে থাকে, উদাহরন সরুপ বলা জায় হাউজ, শিক্ষা, চাকরি, ব্যাবসা সহ এমন অনেক ব্যাপারে তারা প্রতি বছর তথ্য প্রকাশ করে থাকে, কিন্তু তাদের ডাটাবেজে কন তথ্য নেই কি পরিমান মুসলিম শেখানে আছে, এবং কেমন ভাবে বারছে মুসলিম অনুসারীর সংখ্যা। সুতরাং অফিসিয়ালি সরকারি কোন তথ্য সেরা করা সম্ভব হচ্ছেনা। তবে বেশ কিছু নন প্রপিট অরগানাইজেশান ও কিছু সংস্থা আছে তারা এ ব্যাপারে কিছু রিপর্ট প্রকাশ করেছে। চলুন দেখে নেই সুগুলো। Pew Research Center এর তথ্য অনুযায়ী 3.45 মিলিয়ন মুসলিম এই মুহর্তে আমেরাকায় বসবাস করছে। ২০১৭ সালের এই রিপর্ট অনুযায়ী বর্তমান মুসলিমের সংখ্যা আমেরিকার মোট জনসংখ্যার এক শতাংশ। সুতরাং বুজতেই পারছে এটা তেমন বড় কোন সংখ্যা নয়। যা টোটাল আমেরিকান জনসংখ্যার খুব সামন্য একটা অংশ মাত্র।
ইসলাম আমেরিকায় খ্রিস্টান ও ইহুদিদের মত তেমন বড় কোন ধর্ম নয়, কিন্তু ইসলাম বেড়ে চলছে অন্য ধর্মের চেয়ে অনেক বেশি দ্রুত গতিতে। খ্রিস্টান হিন্দু ইহুদিদের তুলনায় মুসলিম ধর্মঅনুসারীর সংখ্যা প্রায় ৭৩ শতাংশ দ্রুত বেড়ে চলচে। পরিসংখ্যানে এটা তুলে ধরা হয়েছে যে আগামি ২০৫০ সালের মধ্য আমেরিকায় প্রায় ৮.১ মিলিয়ন মুসলিম ধর্মা অবলম্বী তৈরি হবে, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার ২.১ শতাংশ। যা বর্তমান মুসলিম জনসংখ্যার দিগুনের ও বেশি।
কেন মুসলিম এত দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে আমিরাকায়? দুটি কারন শেখানে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপুর্ন। নাম্বার ওয়ান হচ্ছে ইমিগ্রেশান। প্রায় ৩৯ হাজার মুসলিম ইমিগ্রেন্ট হয়েছে ২০১৬ সালে, যা আমিরাকায় ইমিগ্রেন্ট হয়ে আসা মোট জনসংখ্যার ৪৬ শতাংশ। আল্মুস্ট ৫০% মুসলিম ইমিগ্রেন্ট ইন টোটাল। ঠিক এখানে আরও একটি ব্যাপার লক্ষ্যনিয় তা হচ্ছে মুসলিম টোটাল জনসাঙ্খার বেশির ভাগ ই হচ্ছে তরুন জাদের বয়স ৩০ এর নিছে, যা অন্যান্য ধর্মের চেয়ে অনেক বেশি। সুতরাং শেখানে ও জনসংখ্যা আর বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি, কারন তাদের সন্তান জন্মদান ও লালন পালন এর সুজগ অনেক বেশি।
আমিরিকায় মুসলিমরা নতুন নয়, অন্তত আজকের দিনে, কিন্তু সবচেয়ে বেশি মুসলিম আমেরিকায় এসেছে ১৯৬৫ সালের দিকে। যার পেছনে ৩ টি বড় করন রয়েছে, প্রথমটি হচ্চে নিজ ভুমিতে নিরাপত্তার অভাব অনুভব করা, এবং ভাল কোন জায়গা খুজে নেয়া। দ্বিতীয় কারন হচ্ছে ভাল মানে শিক্ষা ও চাকরি পাওয়া। এবং তিন নাম্বার সবচেয়ে বড় করন হচ্ছে মুসলিমদের শিক্ষা দান এবং জাতিগত অইতিঝ্য ব্রিদ্দি করা। এই কারনটি সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে, মুসলিমদের আমেরিকায় আগমনের উপর এবং আমেরিকায় মুসলিম ব্রিধিতে ও। আমেরিকায় মুস্লিমের সংখ্যা অনেক কম হলেও এখানে মুসলিম ই হচ্ছে সবচেয়ে বেশি আলচনায়। ৭১ শতাংশ আমেরিকান যারা রিপাব্লিকান সমর্থক তারা মনে করে ইসলাম আমেরিকান মুল্যবধের সাথে যায়না। যা সর্বসাকুল্যে ৪২ শতাংশ আমেরিকানের মতামত। একই ভাবে ৫৬ শতাংশ আমেরিকান মনে করে তাদের মূল্যবোধের সাথে ইসলাম ভাল ভাবেই জড়িয়ে আছে।
যদিও আগামি কয়েক দশকে ইসলাম অনুসারীর সংখ্যায় দিগুন হবে, তবু ও এটা সত্যি খুব সামান্য প্রভাব ফেলবে তাদের মোট জনসংখ্যায়। স্পেসাল্লি যখন আপনি ক্রিস্টান্দের সাথে তুলনা করবেন। ২০১২ সালে যেখানে খ্রিস্টান ছিল ২৫২ মিলিয়ন যা প্রায় ৭০ গুন বেশি মুসলিম থেকে। আগামি ২০৫০ সালের মধ্য ক্রিস্টান জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ২৬১ মিলিয়ন কিংবা তার চেয়ে একটু বেশি। সংখ্যাটা সত্যি অনেক বড়, খুব সহজে এটা চুয়ে জাওয়া সম্ভব নয়, তবে যেভাবে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ইসলামে কনভার্ট হচ্ছে তাতে খ্রিস্টান জনসংখ্যা বাড়ার হারটা আসলে কমে জাচ্ছে।
তাই ইসলাম বারছে, খ্রিস্টান কমছে, এখানে আর একটি গ্রুপ রয়েছে যারা কোন ধর্ম বিসশাস করেনা।
No comments:
Post a Comment