ইন্দোনেশিয়া | Indonesia? 🇮🇩 | Eagle Eyes - Eagle Eyes

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Monday, September 12, 2022

ইন্দোনেশিয়া | Indonesia? 🇮🇩 | Eagle Eyes

স্বাগতম বন্ধুরা৷ আজ আমরা কথা বলবো একটি মুসলিম রাস্ট্র নিয়ে যার নাম ইন্দোনেশিয়া। 


ইন্দোনেশিয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। ল্যাটিন ইন্ডাস থেকে ইন্দোনেশিয়া শব্দটি এসেছে।ল্যাটিন শব্দটির অর্থ দাঁড়ায় দ্বীপ। ডাচ উপনিবেশের কারণে তাদের দেয়া নামটি ওই অঞ্চলের জন্য প্রচলিত হয়। ১৯০০ সাল থেকে জায়গাটি ইন্দোনেশিয়া নামে পরিচিতি পায়।[৯] প্রায় ৫,০০০ দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত এই দেশটি পৃথিবীর বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র। এর রাজধানীর নাম জাকার্তা। সরকারী ভাবে ইন্দোনেশিয়ার নাম ইন্দোনেশীয় প্রজাতন্ত্রী (ইন্দোনেশীয়: Republik Indonesia').



দেশটির নীতিবাক্য হলো "Unity in Diversity"

দেশটির জাতীয় সঙ্গীত: Indonesia Raya

দেশটির মুদ্রাকে বলা হয় ইন্দোনেশিয়ান রুপিয়াহ। 




দেশটির রাজধানী ও বৃহত্তম নগরী বর্তমানে জাকার্তা তবে দেশটির সরকার নানা কারনে বর্তমান এলাকা থেকে রাজধানী সরিয়ে নুসানতারা এলাকায় নেয়ার প্রস্তুুতি গ্রহন করেছে।  দেশটির সরকারি ভাষা ইন্দোনেশীয়। 




ভূগোল :-


ইন্দোনেশিয়া হল দক্ষিণ পূর্ব এশিয়াতে অবস্থিত একটি দ্বীপপুঞ্জীয় দেশ। এটি ভারত মহাসাগর এবং প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত। পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া এবং ওশেনিয়ার সংযোগকারী প্রধান সমুদ্র পথে অবস্থিত হবার ফলে এর অবস্থান খুব গুরুত্বপূর্ণ। ইন্দোনেশিয়া হল বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপপুঞ্জ।  ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন আঞ্চলিক সংস্কৃতি রূপ পেয়েছে তার ভৌত পরিবেশের সাথে বহু শতাব্দীর জটিল প্রতিক্রিয়ায়, যদিও সেগুলি নির্দিষ্টভাবে নির্ধারিত নয়।


ইন্দোনেশিয়ার সরকার দ্বারা প্রাপ্ত অনুমান অনুসারে এখানে ৮,৮৪৪টি নাম সহ দ্বীপ রয়েছে, এর মধ্যে ৯২২টিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করা হয়।যদিও বলা হয় এটি পাঁচটি প্রধান দ্বীপ নিয়ে গঠিত: সুমাত্রা, জাভা, বোর্নিও (ইন্দোনেশিয়ায় কালিমান্তান বলা হয়), সুলাওসি এবং নিউ গিনি। এছাড়া আছে দুটি প্রধান দ্বীপ গোষ্ঠী (নুশা টেংগারা এবং মালুকু দ্বীপপুঞ্জ) এবং ষাটটি ছোট দ্বীপ গোষ্ঠী। এখানকার চারটি দ্বীপে অন্য দেশের অংশ রয়েছে, সেগুলি হল: বোর্নিও দ্বীপে মালয়েশিয়া এবং ব্রুনাইয়ের অংশ আছে; কালিমান্তানের উত্তর-পূর্ব উপকূলের নিকটে অবস্থিত সেবাটিক দ্বীপে মালয়েশিয়ার অংশ আছে; তিমুর দ্বীপে পূর্ব তিমুরের অংশ আছে; এবং নিউ গিনিতে পাপুয়া নিউগিনির অংশ আছে।



দেশটির  মোট আয়তন ৮০,৬৩,৬০১ বর্গ কিমি। ফলে বৃহত্তম আয়োতনের দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান ১৪ তম৷ দেশটির দীর্ঘতম নদী কাপুয়াস নদী যার দৈর্ঘ্য ১,১৪৩ কিমি আর বৃহত্তম হ্রদ হলো টোবা হ্রদ যার দৈর্ঘ্য ১,১৩০ কিমি। 



ইতিহাস :-


দেশটিতে মানুষ বসতির ইতিহাস বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো। যাদের বলা হয় জাভাম্যান। তবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া হয়ে তাইওয়ান থেকে একটি মানব প্রবাহের ধারা ইন্দোনেশিয়ায় যায় খ্রিষ্টজন্মের দুই হাজার বছর আগে।তারা আদিবাসীদের ধীরে ধীরে আরো পূর্ব দিকে নিয়ে যায়। প্রথম শতাব্দীতে সভ্যতার বিস্তার ঘটে। কৃষিকেন্দ্রিক গ্রামীণ সমাজ গঠিত হয়। গড়ে ওঠে অসংখ্য শহর-নগর-বন্দর। সমুদ্র উপকূলে বিস্তার ঘটে ব্যবসা-বাণিজ্য। চীনের সাথে ভারতীয় উপমহাদেশের বাণিজ্য সম্পর্ক গড়ে ওঠে ইন্দোনেশিয়া হয়ে। এর ফলে দেশটিতে এক দিক থেকে হিন্দু ধর্ম অন্য দিক থেকে আসে বৌদ্ধ ধর্ম। দু’টি ধর্ম জীবনব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে।


ত্রয়োদশ শতাব্দীতে মুসলিমদের আগমন ঘটে। উত্তর সুমাত্রা হয়ে ক্রমে মুসলমানরা ছড়িয়ে পড়ে হাজার হাজার মাইলের বিস্তৃত ইন্দোনেশিয়ায়। ষোড়শ শতাব্দীতে দেশটির প্রধান ধর্ম হয়ে যায় ইসলাম। মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা উন্নত সভ্যতা ও সংস্কৃতি ক্রমেই ছাপিয়ে গিয়েছিল বৌদ্ধ আর হিন্দুপ্রধান এ অঞ্চলে। এর পর ধাপে ধাপে ইউরোপীয়দের আগমন ঘটে দেশটিতে। ব্রিটিশ আর ডাচরা তাদের সাম্রাজ্য স্থাপন করলেও ধর্ম ও সংস্কৃতিতে তারা কোনো প্রভাব রাখতে পারেনি।



স্বাধীনতা লাভ :-


দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪২ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত তিন বছর জাপানিরা ইন্দোনেশিয়া দখল করে। ১৯৪৫ সালের ১৭ই আগস্ট মিত্রশক্তির হাতে জাপানের আত্মসমর্পণের তিন দিন পর সুকর্ণ এবং মোহাম্মাদ আতার নেতৃত্বে একটি ক্ষুদ্র ইন্দোনেশীয় দল ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণা করে এবং ইন্দোনেশিয়া প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে। তারা একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে এবং নির্বাচনের আগ পর্যন্ত দেশ চালাবার জন্য একটি সংবিধান রচনা করে। ওলন্দাজরা পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে শক্ত বাধার সম্মুখীন হয়। চার বছর  যুদ্ধ ও আলাপ আলোচনার পর ওলন্দাজেরা ২৭ ডিসেম্বর ১৯৪৯সালে ইন্দোনেশীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে।



জনসংখ্যা :-


২০০০ সালের জাতীয় জরিপ অনুযায়ী দেশটির জনসংখ্যা ২০ কোটি ৬০ লাখ। ২০০৬ সালে পরিচালিত অন্য একটি জরিপে দেখা যায়, দেশটির জনসংখ্যা বেড়ে ২২ কোটি ২০ লাখে দাঁড়িয়েছে। কেবল জাভাতে ১৩ কোটি লোক বাস করে। প্রতি বর্গকিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ১৩৪ জন। জাভা বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপর্ণ দ্বীপ। দ্বীপটির প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৯৪০ জন মানুষ বাস করে। জনগোষ্ঠীর বেশির ভাগেরই মূল অস্ট্রেনেশিয়ান যারা মূলত তাইওয়ান থেকে এসেছিল। জনসংখ্যার অন্য বড় অংশটির মূল হচ্ছে মেলানেশিয়া। দেশটির মধ্যে তিন শ’র বেশি জাতি-গোত্র। জনসংখ্যায় তারা ৪২ শতাংশ। জাভার মানুষ রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবেও প্রভাবশালী। চীনা ইন্দোনেশীয়রা জনসংখ্যায় মাত্র ১ শতাংশ। মজার বিষয় দেশটিতে নৃগোষ্ঠীর সংখ্যা ৩০০ উপরে।





রাজনীতি :-


ইন্দোনেশিয়াতে একটি রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা বিদ্যমান। বহুদলীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতি একাধারে রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধান। ১৯৯৮ সালে সুহার্তোর পতনের পর শাসনব্যবস্থায় বড় ধরনের সংস্কার করা হয়। মন্ত্রিপরিষদের গঠন ও নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। মন্ত্রিসভার সদস্য হওয়ার জন্য আইনসভার সদস্য হওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই। আইন পরিষদের নাম পিপল কনসালটেটিভ অ্যাসেম্বলি। এর প্রধান কাজ সংবিধান সংশোধন, জাতীয় নীতিনির্ধারণ। প্রেসিডেন্টকে ইমপিচ করার ক্ষমতাও রয়েছে এর। আইন পরিষদের দু’টি কক্ষ। একটি হচ্ছে পিপলস রিপ্রেজেনটেটিভ কাউন্সিল। এর সদস্যসংখ্যা ৫৫০। অন্যটি রিজিওনাল রিপ্রেজেনটেটিভ কাউন্সিল। এর সদস্যসংখ্যা ১২৮। ২০০৪ সালে প্রথম জনগণের সরাসরি ভোটে দেশটির প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। বর্তমানে দেশটির রাষ্ট্রপতি জোকো উইদোদো এবং উপরাষ্ট্রপতি জুসুফ কাল্লা। 





অর্থনীতি :-


ইন্দোনেশিয়াতে একটি বাজার অর্থনীতি বিদ্যমান, তবে এতে সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রায় ১৬৪টি সরকারী সংস্থাতে বহু লোকের কর্মসংস্থান হয় এবং সরকার অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের, বিশেষ করে জ্বালানি তেল, চাল, ও বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণ করে। ১৯৯৭ সালের অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষিতে সরকার বিভিন্ন উপায়ে বেসরকারী খাতের অনেকাংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। পূর্ব এশিয়ায় অর্থনৈতিক ধস ইন্দোনেশিয়াকে বিপর্যস্ত করে। এর সূত্র ধরে সুহার্তো সরকারেরও পতন হয়। সাম্প্রতিক সময়ে প্রেসিডেন্ট সুসিলো বামবাং ইয়োধোয়োনোর নেতৃত্বে দেশটির অর্থনীতি উজ্জীবিত হচ্ছে। অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক সংস্কার করা হয়েছে। বেকারত্ব ও দারিদ্র্য রয়েছে ব্যাপক হারে। ২০০৮ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। মাথাপিছু জাতীয় উৎপাদন ছিল প্রায় চার হাজার ডলার। অর্থনীতির সবচেয়ে বড় খাত শিল্প। জাতীয় উৎপাদনে কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতের অবদান যথাক্রমে ১৩ দশমিক পাঁচ, ৪৫ দশমিক ছয় ও ৪০ দশমিক আট শতাংশ। জাতীয় আয়ে কৃষির অবদান তৃতীয় হলেও ৪২ শতাংশেরও বেশি মানুষ কৃষিতে নিয়োজিত। দেশে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা ১১ কোটি বিশ লাখ।




সামরিক শক্তি :-


ইন্দোনেশিয়ার সেনাবাহিনীর আকার বিশাল। সরকার নির্বাচিত সদস্যদের সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্তি বাধ্যতামূলক। দুই বছর করে সেনাবাহিনীতে কাজ করতে হয়। সামরিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার সামর্থ্য রয়েছে প্রায় ১১ লাখ মানুষের। নিয়মিত সেনাসংখ্যা ৩ লাখ ৩ হাজার। নৌবাহিনীর সদস্যসংখ্যা ৭৪ হাজার এবং বিমানবাহিনীর সদস্যসংখ্যা ৩৩ হাজার। সংসদে ৩৮টি আসন সংরক্ষিত রয়েছে প্রতিরক্ষাবাহিনীর সদস্যদের জন্য। জাতীয় উৎপাদনের ৩ শতাংশ ব্যয় হয় সামরিক খাতে।




প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ:-


৩৩টি প্রদেশ নিয়ে ইন্দোনেশিয়া গঠিত। এর মধ্যে পাঁচটির রয়েছে বিশেষ মর্যাদা। প্রত্যেকটি প্রদেশের রাজ্য গভর্নর এবং আলাদা আইনসভা রয়েছে। প্রদেশগুলোকে শাসন সুবিধার জন্য রিজেন্সি এবং সিটিতে ভাগ করা হয়েছে। নিচের দিকে আরো বেশ কিছু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রশাসনিক ইউনিট করা হয়েছে। সবার নিচে রয়েছে গ্রাম। আচেহ, জাকার্তা, ইউগিয়াকারতা, পাপুয়া এবং পশ্চিম পাপুয়াকে অনেক বেশি মাত্রায় স্বায়ত্তশাসন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে আচেহ প্রদেশ নিজেদের আইন প্রণয়নের অধিকার দেয়া হয়েছে। তারা শরিয়া বিধান মোতাবেক শাসনকার্য পরিচালনা করে।




নতুন রাজধানী :-


ইন্দোনেশিয়া ঘোষণা দিয়েছে, জাকার্তার বদলে তারা যে নতুন রাজধানী তৈরি করতে যাচ্ছে, তার নাম হবে 'নুসানতারা'।জাভানিজ ভাষায় নুসানতারার অর্থ দ্বীপপুঞ্জ।দেশটির দ্রুত ডুবন্ত শহর জাকার্তা থেকে রাজধানী সরিয়ে নেয়ার একটি প্রস্তাব পার্লামেন্ট অনুমোদনের পর এই ঘোষণা দিয়েছে সরকার।বোর্নিও দ্বীপ থেকে ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার দূরের রাজধানী তৈরি করার প্রথম প্রস্তাব করা হয়েছিল ২০১৯ সালে।


কারন হিসেবে বলা হয়েছে যে, ভিড়বহুল জাকার্তা দুষিত হয়ে পড়েছে এবং ভূ-গর্ভস্থ পানির মাত্রাতিরিক্ত উত্তোলনের ফলে আশঙ্কাজনক হারে শহরটি ডেবে যাচ্ছে। জাভা সাগরের এই বৃহত্তম দ্বীপে এক কোটির বেশি মানুষ বসবাস করে।


এছাড়াও শহরের বায়ুদূষণ এবং ট্রাফিক জ্যামের কুখ্যাতি রয়েছে। এমনকি সময়মতো সভা-সমাবেশে অংশ নেয়ার জন্য সরকারের মন্ত্রীদের পুলিশের গাড়ি বহরের পাহারাও নিতে হয়।


ইন্দোনেশিয়া সরকারের বৃহৎ প্রকল্পের অন্যতম রাজধানী স্থানান্তরের এই পদক্ষেপে খরচ হবে প্রায় ৪৬৬ ট্রিলিয়ন রুপি বা তিন হাজার দুইশো ৪০ কোটি ডলার।তবে বিশ্বে ইন্দোনেশিয়াই প্রথম দেশ নয়, যারা তাদের রাজধানী স্থানান্তর করেছে। নতুন করে পরিকল্পিত ও নির্মিত শহরে এভাবে রাজধানী স্থানান্তর করেছে ব্রাজিল, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া।




ধর্ম :-


সরকার ঘোষিত ৬টি ধর্ম হলো ইসলাম, খ্রিষ্টানদের দু’টি গ্রুপ, হিন্দু, বৌদ্ধ ও কনফুসীয়। জনসংখ্যার 

৮৬.৭০% মুসলিম , ১০.৭২% খ্রিস্টান, ১.৭৪% হিন্দু,

০.৭৭% বৌদ্ধ ও ০.০৭% অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর লোক দেশটিতে রয়েছে। 


বর্তমানে এখানকার সংখ্যাগরিষ্ঠ লোক ইসলাম ধর্মাবলম্বী। ইন্দোনেশিয়া মিশ্র সংস্কৃতির দেশ। দেশটিতে ব্যাপক সাংস্কৃতিক ভিন্নতা রয়েছে। আরবীয়, ভারতীয়, চীনা, মালয় ও ইউরোপীয় সংস্কৃতির মিশেল রয়েছে জীবনাচরণে। আদিবাসী দ্বীপবাসীদের সংস্কৃতির সাথে এখানে বাণিজ্য করতে আসা এশীয় ও ইউরোপীয় লোকেদের সংস্কৃতির মিলন ঘটেছে।



ভাষা,:-


এথনোলগ অনুসারে ইন্দোনেশিয়াতে ৭৪২টি ভাষা আছে। এদের মধ্যে ৭৩৭টি জীবিত, ২টি দ্বিতীয় ভাষা যাদের কোন মাতৃভাষী জীবিত নেই, এবং ৩টি বর্তমানে বিলুপ্ত। ইন্দোনেশিয়ার সরকারি ভাষার নাম বাহাসা ইন্দোনেশিয়া। এটি মূলত মালয় ভাষার একটি পরিবর্তিত রূপ যা ব্যবসা, প্রশাসন, শিক্ষা ও গণমাধ্যমে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু অধিকাংশ ইন্দোনেশীয়ই স্থানীয় মাতৃভাষাতেই, যেমন জাভানীয় ভাষা, ইত্যাদিতে কথা বলেন। 




প্রানী :-


ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ জীববৈচিত্র্যের দেশ (ব্রাজিলের পর)। এর জীব ও উদ্ভিদ শ্রেণীর মধ্যে এশীয় ও অস্ট্রেলীয় সংমিশ্রণ দেখা যায়। সুমাত্রা, জাভা, বোর্নিও এবং বালিতে এশীয় প্রাণীদের বিচিত্র সমারোহ। এখানে রয়েছে হাতি, বাঘ, চিতা, গণ্ডার ও বৃহদাকার বানর। দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ বনভূমি। অস্ট্রেলিয়ার কাছাঁকাছি অবস্থিত পাপুয়ায় ৬০০ প্রজাতির পাখির বাস। পাখিদের ২৬ শতাংশ পৃথিবীর অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। দেশটির সমুদ্র উপকূলের দৈর্ঘ্য ৮০ হাজার কিলোমিটার। দেশটির জীববৈচিত্র্যের প্রধান কারণ এ দীর্ঘ উপকূলরেখা। দ্রুত শিল্পায়নের ফলে পরিবেশগত বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।




শিক্ষা :-


ইন্দোনেশিয়ার শিক্ষা এর দায়িত্বে থাকে শিক্ষা ও সংস্কৃতি এবং ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ।দেশটির সমস্ত নাগরিককে অবশ্যই বারো বছর বাধ্যতামূলক শিক্ষা গ্রহন করতে হয় যার প্রাথমিক স্তরে ছয় বছর এবং মধ্য ও উচ্চ বিদ্যালয় এ পরের বগুলো সহ এই তিনটি স্তরে থাকে। ইসলামিক স্কুলগুলো ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে থাকে।


এছাড়াও দেশটিতে দুটি ধরণের শিক্ষা রয়েছে : আনুষ্ঠানিক এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক। প্রথাগত শিক্ষা আরও তিন স্তরে বিভক্ত: প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং তৃতীয় শিক্ষা।


দেশটিতে দেশীয় ভাবে শিক্ষা গ্রহন এর পাশাপাশি আন্তজার্তিক ভাবেও তারা শিক্ষার সুযোগ দিয়ে থাকে৷ আর এটিতে তারা তাদের নিজস্ব ভাষার পাশাপাশি আন্তজার্তিক ভাষা ইংরেজিতেও শিক্ষা গ্রহন এর সুযোগ দিয়ে থাকে৷ ফলে বাহিরে দেশের শিক্ষার্থীরাও এখানে শিক্ষা গ্রহনের সুযোগ পায়।




পোশাক :- পুরুষদের জাতীয় পোশাক এর নাম বাটিক যা এক প্রকার শার্ট এর মত দেখতে৷ তারা পেসি নামক টুপিও মাথায় পরিধান করে৷ এবং মহিলাদের জাতীয় পোশাক হলো কেবায়া। এছাড়াও তারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জাভানিজ, সুন্দানিজ, বাতক টোরা সহ বিভিন্ন নামের নানা প্রকারের পোশাক পরিধান করে থাকে।



খাবার :-


ইন্দোনেশীয় রন্ধনশৈলী বিশ্বের সবচেয়ে পরিবর্তনশীল এবং বর্ণিল খাবারের সমাহার যা তীব্র স্বাদে পূর্ণ।এখানক ৩০০ টিরও বেশি নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী ইন্দোনেশিয়ায় বাস করে। ফলে এখানে অনেক আঞ্চলিক রান্না বিদ্যমান। ইন্দোনেশিয়ার প্রায় ৫২৫০ টি প্রচলিত রেসিপি রয়েছে, যার মধ্যে ৩০ টিকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।তবে চাল, নুডল এবং স্যুপ খাবারের সমন্বয়ে ইন্দোনেশীয় রন্ধনশৈলী বিকশিত হয়েছে।



কিছু জনপ্রিয় ইন্দোনেশীয় খাবার যেমন নসি গোরেং, গডো-গডো, স্যাটে এবং সোটো দেশের সর্বত্র তৈরী হয় এবং জাতীয় খাবার হিসাবে বিবেচিত। ইন্দোনেশিয়ার আনুষ্ঠানিক জাতীয় খাবার হচ্ছে টুমপেং।সোয়ে-ভিত্তিক পদ যেমন টফু ও টেমপেও খুব জনপ্রিয়। টেমপেহকে জাভার আবিষ্কার হিসাবে বিবেচনা করা হয়।



পর্যটন :-


পর্যটন ইন্দোনেশিয়ার অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার অন্যতম উৎস। ১৭,০০০ দ্বীপ, বিশ্বের ২য় বৃহত্তম তটরেখা, ৩০০টি ভিন্ন গোত্র এবং ২৫০টি ভিন্ন ভাষার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় প্রকৃতি ও সংস্কৃতি দেশটির পর্যটন শিল্পের দুইটি প্রধান উপাদান।


ইন্দোনেশিয়ার প্রায় ৫৭% ভূমি এলাকা ক্রান্তীয় অরণ্যে ঢাকা। এইসব অরণ্যতে অনেক পর্যটক ঘুরতে ভালবাসেন। যেমন উবুদ যা ইন্দোনেশিয়ার বালির একটি গ্রাম,মাংকি ফরেস্ট, তিরথা ইম্পুল টেম্পল ইত্যাদি।  এছাড়া রয়েছে দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত। সবচেয়ে জনপ্রিয় সৈকতগুলির মধ্যে রয়েছে বালি, লোম্বক, বিনতান, ও নিয়াস দ্বীপের সৈকতগুলি। তবে এগুলিতে পর্যটকদের সংখ্যাধিক্যের কারণে ঠিকমত সংরক্ষণ করা সম্ভব হয় না। অপেক্ষাকৃত বিচ্ছিন্ন কিন্তু ভালভাবে সংরক্ষিত সৈকতগুলির মধ্যে আছে কারিমুনজাওয়া, টোগীয় দ্বীপপুঞ্জ, বান্দা দ্বীপপুঞ্জের সৈকতগুলি। সমুদ্রের তীরে সার্ফিং এবং অনেক জায়গায় ডাইভিঙের ব্যবস্থাও আছে। আরও আছে বিস্তীর্ণ প্রবাল দ্বীপ। আর হরেক প্রজাতির প্রশান্ত ও ভারত মহাসাগরীয় উদ্ভিদ ও প্রাণী।


ইন্দোনেশিয়ায় আরও রয়েছে অনেক পর্বত, এবং এদের মধ্যে কিছু কিছু আবার আগ্নেয়গিরিও। এগুলিতে অনেক পর্যটক পর্বতারোহণ করতে ভালবাসেন।




উৎসব :-


ইন্দোনেশিয়ার জনগণ খুবই উৎসব প্রিয়। এদেশে রয়েছে অসংখ্য উপজাতি, প্রত্যেক উপজাতির রয়েছে আলাদা আলাদা উৎসব। এছাড়া জাতীয় পর্যায়েও আয়োজন করা হয়ে থাকে বিভিন্ন উৎসব। পর্যটন শিল্পকে কেন্দ্র করে এসব উৎসবে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। কিছু প্রধান উৎসব হলো :- 


১. ইরাউ কার্তেনগারা উৎসব:

‘ইরাউ’ হল একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব, যা প্রতি বছর ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব কালিমান্তান অঞ্চলে অনুষ্ঠিত হয়। ইরাউ শব্দটি স্থানীয় ‘কুতাই’ ভাষা থেকে এসেছে, যার অর্থ ভিড়, শোরগোল ও আনন্দময় পরিবেশ।


প্রায় ১০ লাখ বছর পূর্বে কুতাই অধিবাসীদের শক্তিশালী ‘কুতাই সাম্রাজ্য’ ছিল-১। যদিও সেই সাম্রাজ্যের পতন ঘটে গেছে, তবুও এখানকার অধিবাসীরা সেই সাম্রাজ্যের গৌরবকে স্মরণ করে এই উৎসবটির আয়োজন করে থাকে। বর্তমানে এই উৎসব জাতীয়ভাবে উদযাপিত হয়।


২. লিম্বাহ বালিম উৎসব:


এই উৎসবটি পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া অঞ্চলে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। বালিম উৎসব সৌভাগ্যে ও সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে।


বালিম উপত্যকার আদিবাসীদের এই উৎসবে মূলত দুই গোত্রের মধ্যে প্রতীকী যুদ্ধ তুলে ধরে। উৎসবে অংশগ্রহণকারী আদিবাসীরা অস্ত্রসজ্জায় সজ্জিত হয়ে প্রতীকী যুদ্ধে মত্ত হয়।


তবে পর্যটকদের জন্য এটা এখন নিরাপদ উৎসব। এই উৎসবের প্রতিপাদ্য ‘ইয়াগোটেক হাবুলুক মোতোগ হানোরো’, যার অর্থ, ‘আগামী দিন আজকের দিন থেকে সুন্দর হওয়া উচিৎ’।


৩. পাসোলা:


এই উৎসবটি ইন্দোনেশিয়ার সাম্বা অঞ্চলে অনুষ্ঠিত হয়। সাম্বা দ্বীপে পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য এই উৎসব পালিত হয়।


পাসোলা একটি ঐতিহ্যবাহী যুদ্ধকে তুলে ধরে, যা ‘লেম্পার লেম্বিং’ নামে পরিচিত। এটাকে ঘোড়ার যুদ্ধ হিসেবেও অভিহিত করা যেতে পারে। এই উৎসব মূলত ফসলের ঋতুতে শুরু হয়।


এখানকার অধিবাসীদের বিশ্বাস, ‘নেইলি’ নামক এক দেবতা আছে। উৎসবের চলাকালে একদিন সকালে সূর্য উদিত হওয়ার সময়ে নেইলি পৃথিবীতে নেমে আসেন। তখন যদি তার শরীরে মোটা ও স্বাস্থ্যবান অবস্থায় থাকে, তবে তারা ধরে নেয়, এই বছর ভালো ফসল হবে। আর যদি পাতলা শরীরে আবির্ভূত হন, তবে তারা ধরে নেয়, এটি এই অঞ্চলের জন্য খারাপ ইঙ্গিত এবং সে বছর ফসল খারাপ হবে।


৪. ফাহমো উৎসব:


ফাহামো হচ্ছে ‘নিয়াস’ উপজাতিদের এক ধরণের উচ্চলম্ফ প্রতিযোগিতা। উঁচু করে সাজানো পাথর লাফ দিয়ে অতিক্রম করতে হয়। এই উৎসবটি অংশগ্রহণকারীদের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।


এই উৎসবকে ঘিরে একটি মজার ঐতিহ্য রয়েছে। যুবকগণ এই প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ হলে তারা বিবাহের বয়সে উত্তীর্ণ ও জীবন সংগ্রামে টিকে থাকার যোগ্য হয়েছেন বলে বিবেচিত হন। যে পাথরের স্তুপ লাফিয়ে অতিক্রম করতে হয় তার উচ্চতা প্রায় ২ মিটার।


প্রতিযোগী যুবকগণ এ সময়ে নিয়াসদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিধান করেন। স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কাছে এটা খুবই উপভোগ্য খেলা। উৎসবের সময়ে প্রচুর মানুষ এটা দেখতে ভিড় জমায়।


৫. রামবু সলো উৎসব:


রামবু সলো উৎসব সলো অঞ্চলের উৎসব নয় বরং এটা তানাহ তোরাজা অঞ্চলের উৎসব। এই উৎসব মূলত মৃত্যু বেক্তিকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত হয়। অভিজাত পরিবারের কেউ মৃত্যুবরণ করলে বা শক্তিমান ব্যক্তিদের সমাহিত করার সময়ে তাদের সম্মানে এই উৎসব আয়োজন করা হয়।


উৎসবে মহিষ ও শূকর জবাই করা হয়। যে যত বেশি অভিজাত তার জন্য তত বেশি সংখ্যক মহিষ ও শূকর জবাই করা হয়। সাধারণত দেখা যায় কয়েক ডজন মহিষ ও কয়েক’শ শূকর জবাই করা হয়। এ সময়ে গান বাজানো হয় এবং নৃত্য করা হয়। অতিথিদের মাঝে মাংস বিতরণ করা হয়।


৬. কমোদো উৎসব:


ইন্দোনেশিয়ার কমোদো দ্বীপে এই উৎসব পালিত হয়। এই উৎসবে স্থানীয়রা তাদের শিল্প-সংস্কৃতি তুলে ধরে। স্থানীয়রা উৎসবের সময়ে তাদের তৈরি নানা জিনিসপত্র প্রদর্শনী করে। এই উৎসবের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে ‘চাছি নৃত্য’। এই নৃত্য প্রচলিত নৃত্য থেকে ভিন্ন। এখানে ২ জন পুরুষ চাবুক ও ঢাল নিয়ে যুদ্ধে মত্ত থাকেন, যুদ্ধের তালে তালে নৃত্য করতে থাকেন। প্রতি বছর অসংখ্য বিদেশি পর্যটক এই উৎসব দেখতে ইন্দোনেশিয়ায় ভিড় জমান।


৭. তেলুক জাইলোলো উৎসব:


জাইলোলো উৎসবের আরেক নাম হালমাহেরা উৎসব। উত্তর মালুকুর হালমাহেরা দ্বীপে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসব শুরু হয় ২০০৯ সাল থেকে। অনুষ্ঠানে নানা ধরনের আয়োজন থাকে যেমন, গান, নাচ, খাবার প্রদর্শনী ইত্যাদি। তবে এসব নাচ-গানে স্থানীয় ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়। এটি স্থানীয় মালুকু সরকারের সহযোগিতায় পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য আয়োজন করা হয়ে থাকে।


৮. সলো বাতিক উৎসব:


সলি শহর মধ্য জাভায় অবস্থিত। সলিতে বাটিক সম্প্রদায়ের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য রয়েছে। ‘বাটিক’ তাদের কাছে প্রতীকী ও আত্মপরিচয়মূলক শব্দ। সলি উৎসব মূলত স্থানীয়রা তাদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে ও শক্তিশালী করতে আয়োজন করে থাকে। তারা এই উৎসবের মধ্য দিয়ে তাদের ঐতিহ্যকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে ছড়িয়ে দিতে চায়। অনুষ্ঠানের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী পোশাকের ফ্যাশন শো।


৯. গ্রেবেগ মিলাদ উৎসব:


জাভা ভাষায় ‘গ্রেবেগ’ শব্দের অর্থ ভিড় বা মানুষের সমাগম আর ‘মিলাদ’ বলতে স্থানীয় জাভা ক্যালেন্ডারের একটি বিশেষ দিন, যেদিন নবী মুহাম্মদ (সঃ) জন্মগ্রহণ করেছেন। এই উৎসব ‘সেকাতেন’ নামেও পরিচিত।


দিনব্যাপী মিছিলের মাধ্যমে এই উৎসব পালিত হয়। একটি বিশেষ ধরণের গম্বুজ সদৃশ বস্তুকে তারা ধারণ করে মিছিল করেন। মিছিলের সঙ্গে সঙ্গে ‘গ্যামেলান’ বা বিশেষ ধরণের স্থানীয় বাদ্যযন্ত্র বাজানো হয়। দিন শেষে গ্রান্ড মসজিদে এসে এই উৎসবের সমাপ্তি ঘটে।


এ সময়ে শহরের উত্তরে স্থানীয় পণ্যের মেলা বসে। ইন্দোনেশিয়ার জাভায় এই অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়ে থাকে।


১০. বালি আর্ট উৎসব:


ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম বৃহৎ উৎসব হচ্ছে বালি আর্ট উৎসব। এখানে ইন্দোনেশিয়ার আর্ট-কালচার তুলে ধরা হয়। এই উৎসবে প্রতি বছর প্রচুর বিদেশি পর্যটক ভিড় জমান।


এছাড়াও ইন্দোনেশিয়ায় অনেক প্রথাগত ও ধর্মীয় উৎসব উদযাপিত হয়। প্রায় সব উৎসব তাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। পর্যটকদের আকর্ষণ করাও তাদের উৎসবের অন্যতম কারণ।



তো এই ছিলো ইন্দোনেশিয়া সম্পর্কে। আজ এই পর্যন্ত এরপর আবার কথা হবে অন্য কোন দেশ নিয়ে৷ ততদিন সবাই ভালো থাকুন । 



No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Responsive Ads Here